আরও অনেক রিপাবলিকান নেতার মত ট্রাম্প এবারের নির্বাচনে কারচুপির যে অভিযোগ তুলেছেন তার সমালোচনা করেছেন ইউটাহ অঙ্গরাজ্যের সিনেটার মিট রমনি। তিনি বলেছেন, নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে বলাটা ভুল। রমনি নিজেও এক সময় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ছিলেন।
টুইটারে দেওয়া পোস্টে রমনি বলেন, নির্বাচনকে দুর্নীতিগ্রস্ত বা চুরি করা হয়েছে বলাটা ভুল। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে ও বিশ্বজুড়ে স্বাধীনতার লক্ষ্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তিনি বলেন, সব ভোট গণনা গণতন্ত্রের হৃৎপিণ্ড। এই প্রক্রিয়া অনেক সময় দীর্ঘ হয় এবং যারা অংশ নিচ্ছেন তাদের জন্য হতাশাজনক। ভোট গণনা হবেই। যদি কোনও অনিয়মের অভিযোগ থাকে সেগুলো তদন্ত হবে এবং আদালতে নিষ্পত্তি হবে। গণতন্ত্র, আমাদের সংবিধান ও আমেরিকার জনগণের ওপর আস্থা রাখুন।
এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে পেনসিলভানিয়ায় বড় ধরনের ভোট জালিয়াতির অভিযোগ করেন ট্রাম্প। এর পরপরই রিপাবলিকান সিনেটর প্যাট টুমি বলেন, অঙ্গরাজ্যের ভোট গণনা চূড়ান্ত ও সার্টিফাই হয়ে গেলে জিতুক বা হারুক সব দলের উচিত নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেওয়া।
ভোট গণনা অব্যাহত থাকায় সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন টুমি।
টুমি বলেন, পেনসিলভানিয়ার আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ সব ভোট অবশ্যই গণনা করতে হবে। যতদিন সময় লাগুক না কেন।
সবচেয়ে কঠোর সমালোচনা এসেছে টেক্সাসের অবসরপ্রাপ্ত রিপাবলিকান নেতা উইল হার্ডের পক্ষ থেকে। তিনি বলেছেন, দায়িত্বে থাকা একজন প্রেসিডেন্ট আমাদের রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে অবমাননা করছেন। অসংখ্য আমেরিকানদের ভোটাধিকারকে তিনি প্রশ্নবিদ্ধ করছেন। কোনও প্রমাণ ছাড়া এমন অভিযোগ শুধু যে বিপজ্জনক ও ভুল তা নয়, এটি আমাদের দেশ যে মূল্যবোধের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে সেটিকেই অবমাননা করে। সব আমেরিকান নাগরিকের ভোট গণনা হওয়া উচিত।
ট্রাম্পের কট্টর সমালোচক বলে পরিচিত প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য অ্যাডাম কঞ্জিঙ্গার বলেছেন, আমরা চাই সব ভোট গণনা হোক। হ্যাঁ, অবশ্যই সব বৈধ ভোট। জালিয়াতি নিয়ে আপনার যদি কোনও উদ্বেগ থাকে তাহলে প্রমাণ হাজির করুন এবং আদালতে যান। ভুয়া তথ্য তুলে ধরা বন্ধ করুন। এগুলো একেবারে পাগলামি হয়ে যাচ্ছে।